জাতীয় পার্টি থেকে আরও দুজনের পদত্যাগ
জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সৈয়দ পদত্যাগ করেছেন। লিখিত পদত্যাগপত্র রোববার রাতে দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। এদিকে সোমবার দুপুরে পদত্যাগ করেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাবেক সহ-সভাপতি এ টি এম মমতাজুল করিম।
পার্টির চেয়ারম্যান বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা না হলেও, নিজ জেলা কক্সবাজারে জাপার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়,জেলা থেকে কেন্দ্র পযর্ন্ত প্রতিটি ধাপে অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে
দল ও তিনি সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয়,পদন্নোতিসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বার বার জেষ্ঠ্যতা লংঘ্ননের অভিযোগও করেছেন আবু
সৈয়দ। ২০০৪ সালে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ পযর্ন্ত তিনি যাদের জেলা পর্যায়ে সদস্য করেছেন অথবা কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বা পথ দেখিয়েছেন,তাদের জেষ্ঠ্যতা লংঘ্নন করে পদন্নোতি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এছাড়া জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক থাকাকালীন সময় সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আবু সৈয়দ অভিযোগ করে বলেন, কমিটি ভেঙ্গে যাদের দায়িত্ব দেয়া হলো, তারা গেলো ৩ বছরে একটি পরিচিতি সভাও করতে পারেনি। অথচ বিশেষ কারণ দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতার মাধ্যমে যখন-তখন কমিটি ভেঙ্গে দেয়া জাপার রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তিনি আরো জানান,কক্সবাজার জেলা জাপার তৃণমূল নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে জেল-জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে রাজনীতি করেও,এখন তারা সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর কাছে লান্থিত। অন্যদিকে মমতাজুল করিম ২০০৫ সালে শেরে বাংলার কৃষক শ্রমিক পার্টি ছেড়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টিতে যোগ দেন। এরপর গেলো ১১ বছরে কাউন্সিলের মাধ্যমে মূল দলে অনেকে জায়গা দেয়া হলেও,রাজনৈতিক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ দেয়া হয়নি, এই নেতাকে। যিনি নিজ জেলা গাইবান্ধার তৃণমূল রাজনীতিতে একজন রাজনৈতিক কৌশলী জনপ্রিয় রাজনীতিক। এদিকে দলের একটি সূত্র জানায়,আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পার্টির আরো বেশ কয়েকজন মধ্যম সারি ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করবেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর জাপা থেকে পদত্যাগ করেন দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী।